ফটো এডিটিং টুলসমূহের কাজ

এইচএসসি (বিএমটি) ভোকেশনাল - ডিজিটাল টেকনোলজি ইন বিজনেস-২ - গ্রাফিক্স ডিজাইন Graphics Design | | NCTB BOOK
9

ফটোশপ সফটওয়্যার ওপেন করার পর ফটোশপ প্রোগ্রামের বামপাশে বিভিন্ন আইকন বাটন সংবলিত যে টুল দেখা যায়, যেগুলোকে ফটোশপ টুলস বলে। অনেকে এটিকে টুলবক্সও বলে। বিভিন্ন বাটন বা টুল ব্যবহার করে ফটোশপে বিভিন্ন কাজ করা যায়। Photoshop এর বর্তমান সংস্করণে প্রায় ৩০ রকম আলাদা আলাদা টুল আছে। এই টুলগুলো কাজের সুবিধার্থে ৬ টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। আবার বেশকিছু টুলের আরও কয়েকটি সাব টুল আছে । এই টুলগুলোতে মাউস থেকে রাইট বাটন ক্লিক করলে সাব টুলগুলো পাওয়া যায়। নিচে টুলগুলোর পরিচিতি বর্ণনা করা হলো।

ফটোশপ প্রোগ্রামের বাম পাশে একটি বার বা বক্স এর মধ্যে বেশ কিছু আইকন আছে, এটিকেই টুলবক্স বলে। আবার ফটোশপ প্রোগ্রামের উপরের টুল বক্স এর ডান পাশে Quick Selection Tool, Magic Wand Tool লেখা রয়েছে, সেগুলো সাব টুল। যে টুলগুলোর ডানে নিচে একটি ছোট্ট তীর আছে, সেগুলোর সাব টুল আছে।

টুল বক্স কখনও কখনও এক কলামেই থাকে। যদি ফটোশপে, টুলবক্স না থাকে তাহলে মেনু বারের Windows মেনু থেকে Tools এ ক্লিক করলে, ফটোশপ প্রোগ্রামের স্ক্রিনে টুলবার দেখাবে।

■ ফটোশপ টুলস পরিচিতি ও ব্যবহার

ফটোশপ টুলস এর বিভিন্ন আইকনের উপর মাউস পয়েন্টার রাখলে টুলস এর নাম এবং ব্রাকেটে কী-বোর্ড শর্টকাট কমান্ড দেখা যায়। ফটোশপে দুই ভাবে টুলস নির্বাচন করা যায়-

১. মাউসের মাধ্যমে

২. শর্টকাট কী কমান্ড ব্যবহার করে।

নিম্নে ফটোশপের বিভিন্ন ধরনের টুলসের পরিচিতি উল্লেখ করা হলো—

• মুভ টুল ( Move Tool )

মুভ টুলের উপর মাউস নিলে, Move Tool লেখার মতো টাইটেল দেখা যায়। মুভ টুল ব্যবহার করে কোনো লেয়ারের অবজেক্ট কিংবা কোনো ইমেজের নির্বাচিত অংশকে ড্র্যাগ করে মুভ করা যায়। আর মুভ টুলের কী-বোর্ড শর্টকার্ট হচ্ছে V। কী- বোর্ড থেকে V চাপলে Move Tool সিলেক্ট হবে ।

• মারকিউ টুল (Marquee Tool)

ফটোশপ প্রোগ্রাম ওপেন করে ফটোশপের বাম পাশে বিভিন্ন আইকন সংবলিত টুলবক্স দেখা যায়। 

এবার সেখান থেকে marquee tool ব্যবহার করার জন্য চিত্রের মার্ক করা অংশে মাউস পয়েন্টার নিয়ে গিয়ে মাউস থেকে Right বাটনে ক্লিক করলে চারটি অপশন দেখা যায়। নিচে চারটি অপশনের ব্যবহার আলোচনা করা হলো।

i. রেক্টাঙ্গুলার মারকিউ টুল (Rectangular Marquee Tool) : এই টুল ব্যবহার করে চতুর্ভুজ আকৃতি সিলেকশন করা যায়।

ii. ইলিপটিক্যাল মারকিউ টুল (Elliptical Marquee Tool) : ইলিপটিক্যাল টুল ব্যবহার করে গোলাকার সিলেকশন করা যায়।

iii. সিঙ্গেল রো মারকিউ টুল (Single Row Marquee Tool) : এই টুলটির সাহয্যে এক পিক্সেল প্রশস্থতা বিশিষ্ট রো নির্দিষ্ট করা যায়।

iv. সিঙ্গেল কলাম মারকিউ টুল (Single Column Marquee Tool) : কলাম টুল ব্যবহার করে মূলত এক পিক্সেল প্রশস্ততা বিশিষ্ট কলাম নির্দিষ্ট করা যায়।

■ ডিসিলেক্ট সিলেকশনটি

কোন একটি অংশকে সিলেক্ট করার পর কাজ শেষে সিলেকশনটি (Selection) ডিলিট করার প্রয়োজন পড়ে। সেটি করার জন্য সবার আগে মুভ টুল এক্টিভ করি (কী-বোর্ড থেকে V চেপে অথবা সরাসরি মাউস দিয়ে সিলেক্ট করি)। এরপর ডিসিলেক্ট করার জন্য মেনুবারের সিলেক্ট থেকে Deselect এ ক্লিক করি। কি- বোর্ড কমান্ড Ctrl + DT

• ল্যাসো টুল (Lasso Tool)

ছবির বিভিন্ন স্থান নির্বাচন করতে এটি ব্যবহৃত হয়। Lasso Tool তিন ধরনের যথা- উপরের চিত্রের চিহ্নিত করা আইকনটি হচ্ছে Lasso Tool । ফটোশপ থেকে Lasso Tool আইকনের উপর মাউস পয়েন্টার নিয়ে রাইট বাটন ক্লিক করার পর ডান পাশে তিনটি অপশন দেখা যায়। 

i. ল্যাসো টুল (Lasso Tool) : এটি পেন্সিলের মতো কাজ করে। পেন্সিলের মতো চাপ দিয়ে আঁকবো, তারপর ছেড়ে দিলেই ঐ অংশটুকু নির্বাচন হবে।

ii. পলিগোনাল ল্যাসো টুল (Polygonal Lasso Tool) : এই টুল ব্যবহার করে সোজা বা ভেঙ্গে

ভেঙ্গে ডকুমেন্ট সিলেক্ট করা যায়। প্রথমে এক জায়গায় ক্লিক করে নিয়ে বিভিন্ন পয়েন্ট তৈরির মাধ্যমে ছবিতে বিভিন্ন জায়গা নির্বাচন করার জন্য এই টুল ব্যবহৃত হয়।

iii. ম্যাগনেটিক ল্যাসো টুল (Magnetic Lasso Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে একই ধরনের পিক্সেল সহজেই নির্বাচন করা যায়।

• কুইক সিলেকশন গ্রুপ (Quick Selection Group) : কুইক সিলেকশন গ্রুপে যে টুলগুলো থাকে তা নিম্নরূপ আলোচনা করা হলো-

• কুইক সিলেকশন টুল (Quick Selection Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে দ্রুত একটি সিলেকশন পেইন্ট তৈরি করা যায়। তবে ফটোশপের পূর্বের ভার্সনে এই টুলটি নাও থাকতে পারে।

• ম্যাজিক ওয়ান্ড টুল (Magic Wand Tool) : এই টুলটির সাহায্যে ইমেজের একই ধরনের (কালারের) পৃথক পৃথক অংশকে সহজেই সিলেক্ট করা যায়। Shift key চেপে ধরে Magic টুল দিয়ে একই কালার গুলোর উপরে ক্লিক করলে সেগুলো সিলেক্ট হবে।

• ক্রপ টুল (Crop Tool) : Crop টুল ব্যবহার করে ইমেজের অতিরিক্ত অংশকে কেটে আলাদা করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটির আরো ২টি সাব টুল আছে। অর্থাৎ ৩টি টুল আছে।

• স্লাইস টুল (Slice Tool) : এটি ব্যবহার করে ইমেজের স্লাইস তৈরি করা যায়।

• স্লাইস সিলেক্ট টুল (Slice Select Tool) : এই টুল এর সাহায্যে স্লাইস সিলেক্ট করা যায়।

• আইড্রপার টুল (Eyedropper Tool)

• আইড্রপার টুলের সাহায্যে কোনো অংশ ইমেজের ফোরগ্রাউন্ড হিসাবে ইমেজের রং নির্বাচন করা যায় ।

• কালার স্যামপ্লার টুল (Color Sampler Too) : এ টুলটি ব্যবহার করে ইমেজের বিভিন্ন অংশে মোট চারটি ক্লিক করে ওই অংশের রঙের মোডের বিভিন্ন মাত্রা জানা যায়।

• রুলার টুল (Ruler Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে ইমেজের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত নিয়ে দুই প্রান্তের মধ্যকার কৌনিক দূরত্ব, উচ্চতা এবং প্রশস্ততা ইত্যাদি মাপা হয়।

• নোট টুল (Note Tool) : এই টুল ব্যবহার করে ইমেজের উপর মন্তব্য লেখা যায়।

• স্পট হিলিং ব্রাশ টুল (Spot Healing Brush Tool): স্পট হিলিং ব্রাশ টুল ব্যবহার করে ইমেজের দাগ বা ত্রুটি দূর করার জন্য।

• হিলিং ব্রাশ টুল (Healing Brush Tool) : সাধারণত এই টুলটি ব্যবহার করা হয় ইমেজের নষ্ট অংশ রিপেয়ার (repair) করার জন্য। আবার হিলিং ব্রাশ টুল দিয়ে পেইন্ট ইমেজের টেকচার লাইটিং, ট্রান্সপারেন্সি ও শেডিং সোর্স ইমেজ দিয়ে এডজাস্ট করা যায় ।

• প্যাচ টুল (Patch Tool) : একটি ইমেজের সিলেক্ট করা অংশ রিপেয়ার করার জন্য এই টুলটি ব্যবহার করা যায়।

• রেড আই টুল (Red Eye Tool) : সাধারণত একটি ছবি তোলার সময় ক্যামেরার ফ্ল্যাশ দ্বারা সৃষ্ট লাল বার্ণ চোখ থেকে দূর করার জন্য এই টুলটি ব্যবহার করা হয়।

• ব্রাশ টুল (Brush Tool): ব্রাশ টুল ব্যবহার করে খুব সহজেই ড্রয়িং করা যায় ।

• পেন্সিল টুল (Pencil Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে মুক্তভাবে কোন ডকুমেন্ট এর উপর লেখা যায়।

• কালার রিপ্লেসমেন্ট টুল (Color Replacement Tool) : এ টুলটি দিয়ে কোন নির্বাচিত রঙকে নতুন একটি রঙ দ্বারা পরিবর্তন করা যায় ।

• মিক্সার ব্রাশ টুল (Mixer Brush Tool) : এই টুল ব্যবহার করে কালার কে বিভিন্ন রং দেওয়া যায়।

• স্ট্যাম্প টুলস (Stamp Tools) : স্টাম্প টুলস দুই ধরনের। নিম্নে চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হলো— 

i ক্লোন স্ট্যাম্প টুল (Clone Stamp Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে একটি ইমেজের অনুরূপ ইমেজ কিংবা ইমেজের অংশ তৈরি করা যায়।

ii. প্যাটার্ন স্ট্যাম্প টুল (Pattern Stamp Tool) : এই টুলটির সাহায্যে ইমেজের কোন একটি অংশকে সিলেক্ট করে প্যাটান দিয়ে পেইন্ট করা যায়।

• হিস্টোরি ব্রাশ টুল ( History Brush Tool): ছবিকে প্রাথমিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এটি ব্যবহার করা হয়। এর দুটি সাবটুল রয়েছে।

i. হিস্টোরি ব্রাশ টুল ( History Brush Tool): হিস্টোরি ব্রাশ টুল ব্যবহার করে হিস্টোরি প্যালেটে ইমেজের নির্বাচিত অবস্থা বা স্লাপশট পেইন্ট করা যায় ।

ii. আর্ট হিস্ট্রি ব্রাশ (Art History Brush Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে নির্দিষ্ট একটি হিস্টোরি স্টেট বা স্নাপশটকে পেইন্ট করা যায়।

• ইরেজার গ্রুপ টুল ( Eraser Group Tool) : ফটোশপে ইরেজার গ্রুপ টুল ব্যবহার করে ইমেজের বিভিন্ন অংশ মুছে ফেলা যায়। যেমন—

i. ইরেজার টুল (Eraser Tool): এই টুল ব্যবহার করে কোনো ইমেজের লেয়ার কিংবা কোন নির্বাচিত অংশের পিক্সেল মুছে ফেলা যায়।

ii. ব্যাকগ্রাউন্ড ইরেজার টুল (Background Eraser Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে সহজেই ইমেজের ব্যাকগ্রাউন্ড মুছে ফেলা যায়। 

iii. ম্যাজিক ইরেজার টুল (Magic Eraser Tool) : এই টুল এর সাহায্যে কোনো লেয়ারে ক্লিক করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একই ধরনের সব টুল পিক্সেল মুছে যায়।

• গ্রাডিয়েন্ট টুল (Gradient Tool) :উপরের ছবিটির মার্ক Gradient Tool সিলেক্ট করার জন্য টুলবক্সে গিয়ে মাউস থেকে রাইট বাটনে ক্লিক করি। রাইট বাটনে ক্লিক করার পর ডান পাশে দুইটি অপশন দেখা যাবে। এবার সেখান থেকে Gradient Tool বাটন সিলেক্ট করি। এবার ফটোশপের উপরের দিকে অপশন বারে পাঁচটি টুল প্রদর্শিত হবে।

i. Liner Gradient Tool: এই টুলটি ব্যবহার করে লাইনার গ্রাডিয়েন্ট তৈরি করা যায়। 

ii. Radial Gradient Tool: এই টুলটি ব্যবহার করে রেডিয়েল গ্র্যাডিয়েন্ট তৈরি করা হয়।

iii. Angle Gradient Tool: এই টুলটির সাহায্যে অ্যাঙ্গেল গ্রাডিয়েন্ট করা যায়।

iv. Reflected Gradient Tool: এই টুলটি ব্যবহার করে রিফ্লেকটেড গ্রাডিয়েন্ট তৈরি করা যায়।

v. Diamond Gradient Tool: এই টুল ব্যবহার করে ডায়মন্ট গ্রাডিয়েন্ট তৈরি করা যায়।

▪️পেইন্ট বাকেট টুল (Paint Bucket Tool)

এ টুলটি সিলেক্ট করে ইমেজের সম্পূর্ণ বা সিলেক্ট অংশকে ফোরগ্রাউন্ড কালার দিয়ে পেইন্ট করা যায়।

• ব্লার টুল (Blur Tool) : ছবি মসৃণ করার জন্য এই টুল ব্যবহৃত হয়। এর অধীনে রয়েছে ২টি টুল। যথা- sharpen tool এবং Smudge tool

i. Sharpen tool: ছবিকে সাপ বা নিখুঁত করার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।

ii. Smudge tool: এটির মাধ্যমে সহজেই ছবিতে কোন দাগ থাকলে তা মুছে যায় ।

• শার্পেন টুল (Sharpen Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে ইমেজের ঘোলা বা অস্পষ্ট অংশকে উজ্জল করা যায়।

• স্মাজ টুল (Smudge Tool) : এই টুল ব্যবহার করে ইমেজের যে অংশকে ড্র্যাগ করা হবে, সে অংশটিকে পিক্সেল অবস্থায় বের হয়ে প্রান্ত সীমায় ছড়িয়ে যাবে ।

ডজ টুল (Dodge Tool) : এটি অত্যন্ত কার্যকরী একটি টুল । এটির তিনটি সাব টুল আছে যথা—

i. Dodge tool: এই টুল দিয়ে ছবির ব্রাইটনেস বা উজ্জ্বলতা বাড়ানো হয় বা ছবিতে আলো দেওয়া হয়।

ii. Burn tool: এই টুল দিয়ে ছবির ব্রাইটনেস কমানো বা কালো করা হয়। যেমন : চুল কালি করা, চোখের মনি কালো করা, ব্রু কালো করা ইত্যাদি।

iii. Sponge tool: ছবিতে Sponge দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।

• বার্ন টুল (Burn Tool) : এই টুলটির সাহায্যে আলোকিত অংশকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করা যায়।

• স্পঞ্জ টুল (Sponge Tool) : এ টুলটি ব্যবহার করে ইমেজের কোনো স্থানের ক্রমশ গ্রে স্কেল পরিবর্তন করা যায় ।

i. পেন টুল (Pen Tool) : Pen Tool টুল এর সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের পাথ তৈরি করা যায়।

ii. ফ্রিফর্ম পেন টুল (Freeform Pen Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে পেন্সিল দিয়ে তৈরি কাগজের মতো মুক্তভাবে পাথ তৈরি করা যায় । 

iii. অ্যাড অ্যাংকর পয়েন্ট টুল (Add Anchor Point Tool) : এ টুলটির সাহায্যে পাথে অ্যাংকর পয়েন্ট যুক্ত করা যায়।

iv. ডিলিট অ্যাংকর পয়েন্ট টুল (Delete Anchor Point Tool) : এর সাহায্যে পাথে অ্যাংকর পয়েন্টকে বিযুক্ত করা যায়।

V. কনভার্ট পয়েন্ট টুল (Convert Point Tool) : এই টুলটির সাহায্যে এক ধরনের অ্যাংকর পয়েন্টকে অন্য ধরনের অ্যাংকর পয়েন্টে কনভার্ট করা যায়।

• টাইপ টুলস (Type Tools)

লেখালেখি করার জন্য টাইপ টুলস ব্যবহার করা হয়। নিম্নে বিভিন্ন ধরনের টাইপ টুলস উল্লেখ করা হলো-

i. হরাইজন্টাল টাইপ টুল (Horizontal Type Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে স্বাভাবিকভাবে টেক্সট লেখা যায়।

• পেন টুল (Pen Tool)

গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ইলাস্ট্রেটর এর কাজ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পেন টুল ব্যবহার করা হয়। নিম্নে কয়েকটি পেন টুলের নাম উল্লেখ করা হলো-

i. পেন টুল (Pen Tool) : Pen Tool টুল এর সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের পাথ তৈরি করা যায়।

ii. ফ্রিফর্ম পেন টুল (Freeform Pen Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে পেন্সিল দিয়ে তৈরি কাগজের মতো মুক্তভাবে পাথ তৈরি করা যায় । 

iii. অ্যাড অ্যাংকর পয়েন্ট টুল (Add Anchor Point Tool) : এ টুলটির সাহায্যে পাথে অ্যাংকর পয়েন্ট যুক্ত করা যায়।

iv. ডিলিট অ্যাংকর পয়েন্ট টুল (Delete Anchor Point Tool) : এর সাহায্যে পাথে অ্যাংকর পয়েন্টকে বিযুক্ত করা যায়।

V. কনভার্ট পয়েন্ট টুল (Convert Point Tool) : এই টুলটির সাহায্যে এক ধরনের অ্যাংকর পয়েন্টকে অন্য ধরনের অ্যাংকর পয়েন্টে কনভার্ট করা যায়।

• টাইপ টুলস (Type Tools):

লেখালেখি করার জন্য টাইপ টুলস ব্যবহার করা হয়। নিম্নে বিভিন্ন ধরনের টাইপ টুলস উল্লেখ করা হলো-

i. হরাইজন্টাল টাইপ টুল (Horizontal Type Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে স্বাভাবিকভাবে টেক্সট লেখা যায়।

ii. ভার্টিক্যাল টাইপ টুল (Vertical Type Tool) : এই টুল ব্যবহার করে উলম্বভাবে লেখা যায় ।

iii. হরাইজন্টাল টাইপ মাস্ক টুল (Horizontal Type Mask Tool) : এটি ব্যবহার করে অনুভুমিকভাবে লেখার বর্ডার সিলেক্ট তৈরি করা যায় ।

iv. ভার্টিক্যাল মাস্ক টাইপ টুল (Vertical Type Mask Tool) : এই টুলটি সিলেক্ট করে উলম্বভাবে লেখার বর্ডার সিলেকশন তৈরি করা যায়।

• পাথ সিলেকশন টুল (Path Selection Tool): এই টুলের ২টি সাব টুল আছে যথা—

i. পাথ সিলেকশন টুল (Path Selection Tool) : ছবিতে কোন পাথ বা লেয়ার নির্বাচন করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

ii. ডাইরেক্ট সিলেকশন টুল (Direct Selection Tool) : পুরো লেয়ার নির্বাচন করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

• র‍্যাক্ট্যান্সল টুল (Rectangle Tool): এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল। এর অধীনে ৬টি টুল রয়েছে । যথা :

i. র‍্যাক্ট্যাঙ্গল টুল (Rectangle Tool) : এই টুল ব্যবহার করে চতুর্ভূজ তৈরি করা যায়।

ii. রাউন্ডেড র‍্যাক্ট্যাঙ্গল টুল (Rounded Rectangle Tool) : এ টুলটি ব্যবহার করে গোলাকার কোনা বিশিষ্ট চতুর্ভূজ তৈরি করা যায়।

iii. ইল্লিপস টুল (Ellipse Tool) : উপবৃত্ত, বৃত্ত তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয় । 

iv. পলিগন টুল (Polygon Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে বহুভূজ তৈরি করা যায়।

v. লাইন টুল (Line Tool) : এ টুলটি ব্যবহার করে লাইন আঁকা যায়।

vi. কাস্টম শেইপ টুল (Custom Shape Tool) : বিভিন্ন ধরনের অ্যারো (Arrow) তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

• হ্যান্ড টুল (Hand Tool): এটি দিয়ে ছবি সরানো হয়। ছবি zoom করার পর সরিয়ে সরিয়ে দেখার জন্য ব্যবহৃত হয়।

i. হ্যান্ড টুল (Hand tool) : হ্যান্ড টুল ব্যবহার করে কোন ইমেজের সাইজ যদি বড় হয়, তাহলে হ্যান্ড টুল ব্যবহার করে ইমেজকে মুভ করিয়ে বিভিন্ন অংশ প্রদর্শন করা যায়। 

ii. রোটেট ভিউ টুল (Rotate View Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে, ইমেজকে সব দিকে ঘুরানো যায়।

• জুম টুল (Zoom Tool) : জুম টুল সিলেক্ট করে ইমেজকে বড় বা ছোট করে দেখা যায়।

Content added || updated By
Promotion